আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় -কল্পনাহীন নাচ।যা “সারা বিশ্ব জুড়ে নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।
কল্পনাহীন নাচ

কল্পনাহীন নাচে মূখ অভিনয়ের চেয়ে বিশেষ কোন গঠন প্রকৃতি নাই তবে সর্বজনবিদিত ব্যাপার যে, এর ভঙ্গিমা চক্রাকৃতিকার। এই চক্র কোন কেন্দ্রবিন্দু ছাড়া হতে পারে অথবা কেন্দ্রে কোন ব্যক্তি বা বস্তু থাকতে পারে যার ক্ষমতা চক্রের মধ্যে ছড়াতে পারে বা চক্রের ক্ষমতা কেন্দ্রের উপর ভর করতে পারে।
কল্পনাহীন প্রাণবন্ত নাচে যাদুর লক্ষ্য হর্ষোৎফুল্ল জগতে সংশ্লিষ্ট থাকা, যেখান থেকে নাচুয়ে মানবিক এবং শারীরিক অবস্থান অতিক্রম করে আত্ম-মুক্তি লাভ করে বিশ্ব-জগতের ঘটনা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে যেমন বৃষ্টি, আয়ু ও বিজয়কে খাঁটি অকৃত্রিম ধারণা করা হত যেটাতে নাচ গঠনের (নাচের অনুষ্ঠানের সময়) কোন চিহ্ন পরিলক্ষিত হয় না।

এইরূপ আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ে নাচের মধ্যে একটা বিরাট সামঞ্জস্য আছে। সর্ব প্রথমের কিছুই বদলায় নাই সেটার বস্তুগত আকর্ষণ একস্থানে অসুস্থ ব্যক্তি, বা অন্যত্র নতুন বয়ঃপ্রাপ্ত তরুণী বা বলির জন্তু যেটাই হোক না কেন চিকিৎসা- নাচ, সূচনা-নাচ, বলি-নাচের মধ্যে পার্থক্য নাই। এইরূপ আভাস আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের শেষে, শত্রু আক্রমণের পূর্বে বা সফল শিকারের পরে নাচের প্রয়োজনীয় বিষয় একই রকম বলা চলে ।
শেষের পরিণতি প্রাথমিক ভাগের চেয়ে বেশী কিছু পার্থক্যজনক না। মাইক্রোনেশিয়ান মেয়েরা জনগোষ্ঠার সব কিছুই গানে আনে যা গোষ্ঠীকে নাড়া দেয়, ফল, জীব-জন্তু, তারা, পূর্ব-পুরুষ, সব গানেই তারা একই শান্ত দোলান নাচ করে।

কল্পনাহীন-নাচ এইরূপ সামঞ্জস্যপূর্ণ যতক্ষণ অশ্রদ্ধা এবং পরিবর্তন না থাকে। এটা ছোটদের আয়ত্তে আসে যতক্ষণ একজন শিশু গোলক বা চক্রের মাঝে না আসে এইভাবে পুরাতন চক্র-নাচ উদ্দেশ্য মুক্ত হয়ে গতি ও অস্তিত্বের অনাবিল জীবনীশক্তিবর্দ্ধক আনন্দে বিলীন হয়ে পড়ে ।
আরও দেখুনঃ
