আজকের আলোচনার বিষয়ঃ ঠেকা ও আবর্তন, ঠাহ : দুগুণ : তিগুণ : চৌগুণ, আড় বা দেড়গুন, তেহাই বা তিহাই

Table of Contents
ঠেকা ও আবর্তন, ঠাহ : দুগুণ : তিগুণ : চৌগুণ, আড় বা দেড়গুন, তেহাই বা তিহাই
ঠেকা ও আবর্তন
ঠেকা
‘ঠেকা বলা হয়- তবলা পাখোয়াজ ইত্যাদি তাল-বাদ্যের তালে নিবদ্ধ ‘বাণী’ বা বোল-এর সমষ্টিকে। এর আগে, ‘সম’ ‘তালি’ ও ‘খালি’ বোঝাবার সময় যেমন চৌতালের ঠেকা লিখে দেখানো হয়েছে। আ এখানেও বিভাগের একটি ‘ঠেকা’ লিখে দিচ্ছি ।-
ত্রিতালের ঠেকা
+ ২ ০ ০
ধা ধিন, ধিন ধা | ধা ধিন, ধিন, ধা। না তিন, তিন, তা । তা ধিন, ধিন, ধা
আবর্তন
কোন তালের প্রথম মাত্রা থেকে শেষ মাত্রা সংখ্যা পর্যন্ত সমষ্টিকে একটি ‘আবর্তন’ বা ‘আবত” বলা হয়। এইভাবে যতবার তালের ঠেকার ১ থেকে শেষ মাত্রা পর্যন্ত বলে ঘরে আসা হবে, তাকে তত ‘আবত’ন’ বা আবত” বলা হবে। ‘আবতনি-কে হিন্দীতে বলা হয় ‘আওঅত” বা ‘আওঅর্জন’। বাংলা বা হিন্দী যে কোন ভাষাতেই ‘আওআধা’ বলা কিন্তু ভুল, শিক্ষার্থীরা এ কথা অবশ্যই মনে রাখবেন ।

ঠাহ : দুগুণ : তিগুণ : চৌগুণ
‘ঠাহ” বা ‘ঠায়’
যখন গান-বাজনা বা তালের কোন বোলকে মাত্রা অনযায়ী এক-এক মাত্রায় বলা হয়, তখন তাকে বলা হয় ‘ঠাহ্’ বা ‘ঠায়, লয় মানে একগুণে (single ) লয় । এই লয়কে ‘বরাবর লয়-ও বলা হয় । যেমন — ধা ধিন ধিন ধা । এই বোল বা বাণীটি ঠায় লয়ে বলা হয়েছে কারণ, এক-এক মাত্রায় এক-একটি বাণী বলা হয়েছে।
‘দুগুণ, বা দ্বিগুণ’
দ’ মাত্রার বোলকে যখন এক মাত্রার মধ্যে বলা হয়, তখন তাকে বলা হয় ‘দগেণে’ দ্বিগুণে’ বা ‘দান’ লয়। যেমন—ধাধন, ধিন ধা । ওপরে এই বোল এক-এক মাত্রায় বলে চার মাত্রা দেখানো হয়েছিল। সেই চার মাত্রার বোলকে এবার বলা হয়েছে দু’ মাত্রার মধ্যে। কাজেই এটিকে ‘দ্বিগুণ’ বা ‘দুগুণ’ ( double ) লয় বলা হবে ।

‘তিগুণ’ বা ‘তিনগুণ’
দা মাত্রার বাণীকে এক মাত্রার মধ্যে বললে যেমন গেণে হয়, তিন মাত্রার বাণীকে তেমনি এক মাত্রার মধ্যে বললে হবে ‘তিগণে’ বা তিনগুণ (trible ) লয় ।
‘চৌগুণ’ বা ‘চারগুণ
এবার না বলে দিলেও নিশ্চয়ই বুঝতে কোন অসুবিধে হচ্চে না যে, চার মাত্রার বাণীকে এক মাত্রার মধ্যে বলার নামই ‘চারগুণ’ বা ‘চৌগুণ’।
এইভাবে যখনই ৬ মাত্রার বাণীকে এক মাত্রায়, ৮ মাত্রার বাণীকে এক মাত্রায়, ১০ মাত্রার বাণীকে এক মাত্রায় বলা হবে তখনই সেগালি হবে যথাক্রমে ছ’গণ, আটগণে, দশগণ ইত্যাদি ।

আড় বা দেড়গুণ
‘আড়’ ও ‘দেড়গণে লয় একই। অর্থাৎ, তিন মাত্রার বাণীকে দা’ মাত্রার মধ্যে বলা। তিন মাত্রাকে দা মাত্রায় বলতে গেলেই এক-এক মাত্রার মধ্যে দেড়মাত্রার বাণী বলতে হবে। তাই এর নাম ‘দেড়গুণ’ লয়। এই লয়কারীকে ‘আড়’ লয়-ও বলা হয়।
তেহাই বা তিহাই
কোন একটি নির্দিষ্ট বোলের সমষ্টিকে সমান ভাবে পর পর তিনবার বলার নাম ‘তেহাই’ বা ‘তিহাই’। ‘তাঁহা’-ও বলেন অনেকে। ‘তে’ বা ‘তি’ মানেই তিন। তেহাই দুই রকমের হয়— ‘দমদার’ ও ‘বেদমদার’।
আরও দেখুনঃ
