আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়ঃ সঙ্গীতে ভাব ও রস

Table of Contents
সঙ্গীতে ভাব ও রস
ভাব ও রসের সম্পর্ক অঙ্গাঙ্গি। একটি অপরটির পরিপূরক। সঙ্গীতের সঙ্গে এ দুটির সন্ধ খুবই ঘনিষ্ঠ। কারণ, সঙ্গীত হল কান্তিবিদ্যা ( Aesthetics )। সৌন্দর্য ও আনন্দান, ভ,তিই সঙ্গীতের প্রধান উপজীব্য। রস-ব্যঞ্জনা না থাকলে তা সঙ্গীত পদবাচ্য নয় । তাই রবীন্দ্রনাথ বলেচেন : সরস্বতীর আসন বজ্রপিণ্ডের ওপর নহে, পদ্মের স্নিগ্ধ-সৌন্দযে’ই তাঁহার অধিষ্ঠান।
রসতত্ত্বের সম্যক বিচার করা হয়েছে ভরতের নাট্যশাস্ত্রে। পরবর্তীকালের আলংকারিকেরা সকলেই ভরতের রসতত্ত্ব এবং রস বিশ্লেষণকে স্বীকার করে নিয়েছেন । এমন কি, রস-গঙ্গাধর’-এর লেখক পণ্ডিতরাজ জগন্নাথের মত স্বাধীনচেতা ব্যক্তিকেও যুক্তি অপেক্ষা শাস্ত্রবাক্যকেই বেশী প্রাধান্য দিতে দেখা যায় ।
ভরতম,নির মতে রস হ’ল আটটি এবং প্রত্যেকটি রসেরই একটি করে স্থায়ী ভাব আছে। স্থায়ী ভাব না থাকলে তা রসগ্রাহ্য হয় না। নাট্যশাস্ত্র বলে :
শৃঙ্গারহাস্যকরণো রৌদ্রবীরভয়ানকাঃ।
বীভৎসা স্তুতসংজৌ চেতাীে নাট্যরসাঃ স্মৃতাঃ ।
রতিহসিত শোকশ্চ কোষোৎসাহে ভয়ং তথা ।
জগত্সা বিস্ময়শ্চেতি স্থায়ীভাবাঃ প্রকীর্তিতাঃ ।।
অর্থাৎ রস আটটি — শৃঙ্গার, হাস্য, করণে, রৌদ্র, বীর, ভয়ানক, বীভৎস ও অদভতে এবং তার আটটি স্থায়ী ভাব হ’ল—রতি, হাস, শোক, কোষ, উৎসাহ, ভাগ, (ঘ) ও বিস্ময়।
অন্যান্য পণ্ডিতেরা এই আটটির সঙ্গে আরেকটি রস যুক্ত করে নবরসের উল্লেখ করেছেন। এই নবম রসটির নাম ‘শান্ত’ যার স্থায়ীভাবে নির্বেদ, অর্থাৎ নৈরাশ্য বা বৈরাগ্য ।
ভরতমনি প্রধানতঃ নাট্যশাস্ত্র নিয়ে আলোচনা করেচেন গীত প্রধান নাটকে শান্ত রসের প্রয়োজন না থাকায় বোধহয় তিনি নবম রসটির উল্লেখ করেন নি। অথবা এটি এমন একটি রসান, ভাতি, যা সব রকম কলাত্মক অভিব্যক্তির সহজাত, তাই তাকে ভিন্নভাবে প্রকাশের প্রয়োজন বোধ করেন নি।
‘রস’ ধাতুর অর্থ’ হ’ল আস্বাদন মাননুষের মন যখন জাগতিক সুখ- দঃখের ঊর্মে উন্নীত হয়ে দিবা অ- অনাবিল আনন্দকে আস্বাদন করে, সেই অলৌকিক আনন্দানাভূতির নামই হ’ল ‘রস’।
বৈষ্ণাবাচার্যেরা অবশ্য ‘রস’কে শাখা আস্বাদনের মাধ্যম রূপেই মানেন নি, তাঁদের মতে, ঈশ্বরপ্রাপ্তির শ্রেষ্ঠ অবলম্বন হল ‘রস’। তাঁদের মতে রস পাঁচটি শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর রস।

নৃত্যকলার কোন ভাষা নেই। ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হয় নানা দেহভঙ্গি দিয়ে। তাই নৃত্যেকে বলা হয় গাত্র বা অঙ্গবিক্ষেপ। দেহভঙ্গি বা হাতের মুদ্রাগগুলি এই ভাব প্রকাশের সহায়ক।
মানষে যদিও তার মনের ভাবকে ইচ্ছামত প্রকাশ করতে পারে কিন্তু সেই যথেষ্ট প্রকাশ-মাধ্যমকে কলাভূত করা যায় না। আর্ট বা কলা বস্তুটিই হচ্ছে ব্যবস্থিত। কোন অব্যবস্থিত বা অবিন্যস্ত বস্তুকে যখন ব্যবস্থিত ও বিন্যন্ত করা হয়, তখনই তা কলা বা আর্টের পর্যায়ে পড়ে।
মানুষের মনে ভাবনার অন্ত নেই। সেই ভাবগুলি তার অবচেতন মনের মধ্যে প্রচ্ছন্ন ভাবে বাসা বেধে থাকে এবং অনকূল পরিস্থিতিতে তা প্রকাশ পায়। বিভিন্ন সময়ে যে বিভিন্ন ভাবের উদ্রেক হয়, তা নির্ভর করে। কোন ঘটনা বা বিষয়ের ওপর। যেমন কারো কান্না দেখে আপনার মন করুণায় বিগলিত হয় অথবা কোন হাস্যকর ঘটনা আপনার মনে হাস্যরসের উদ্রেক করে। এই ভারসানতর বিভিন্ন পর্যায়, যাকে বলা হয়—বিভাব, অন,ভাব, সঞ্চারী ভাব ও স্থায়ী ভাৰ। পূর্বে বর্ণিত রতি, হাস, শোক প্রভৃতি আটটি বা ন’টি ভাব আমাদের মনে স্থায়ীভাবে বসবাস করে বলে- তাকে বলা হয় ‘স্থায়ী ভাব’।
ন’টি স্থায়ী ভাব ছাড়াও আছে কয়েকটি ‘সঞ্চারী ভাব’। এদের সংখ্যা কোন মতে বত্রিশ কোন মতে তেত্রিশ। অবশ্য এর অতিরিশুও হয় তবে এই কটিই হল প্রধান। সঞ্চারী ভাবগুলির সঙ্গে স্থায়ীভাবের সবদ্ধ অতি ঘনিষ্ঠ। স্থায়ী ভাবকে তার সুপ্ত অবস্থা থেকে জাগ্রত করে তুলতে সাহায্য করে এই সঞ্চারী ভাব । এদের নাম – নির্বেদ, আবেগ, দৈন্য, শ্রম, মদ, জড়তা, উগ্রতা, আলস্য, মোহ, শংকা, চিন্তা, গ্লানি হর্ষ’, বিষাদ, ব্যাধি, আমর্ষ, গবা, ঈষা বা অসূয়া, ধূতি, মতি, চপলতা, ক্রীড়া বা লজ্জা, অবহিখা (মনের ভাব গোপন করা), নিদ্রা, স্বপ্ন, বিরোধ, উন্মাদ, অপমার বা মচ্ছা, স্মৃতি, ঔৎসুক্য, ত্রাস, বিতর্ক’ ও মরণ । এই সঞ্চারী ভাবগুলি প্রকাশ করা হয় নাট্যের দ্বারা ।
যে কারণে ভাবের প্রকাশ ঘটে, সেই কারণকে বলা হয় “বিভাব”। বিভাবের দুটি উপ-বিভাগ আছে – আলম্বন ও উদ্দীপন। যাকে অবলম্ব বা আশ্রয় করে ভাবের উদয় হয়, তাকে বলা হয় আলম্বন বিভাগ এবং যে বিষয় বা ঘটনা ঐ ভাবকে উদ্দীপ্ত বা উত্তেজিত করে, তাকে বলা হয় উদ্দীপন বিভাব। একটু উদাহরণ দিয়ে বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করা যেতে পারে।—
মনে করুন, নায়কের বিরহে নায়িকা কাতরা। বিরহিনী নায়িকার এই কাতরতাকে ফুটিয়ে তোলার ব্যাপারে সাহায্য করচে নেপথ্য সঙ্গীত। এখানে নায়িকা হলেন ‘আলম্বন’ এবং নেপথ্য সঙ্গীত হল ‘উদ্দীপন’।
‘অননুভব’ হল ভাবেরই পরিণাম। অর্থাৎ যে লক্ষণগুলি দ্বারা ভাব পরিস্ফুট হয়, তাই হল অনাভাব। নাচের যে তিনটি শাখা—নত্যে ও নাট্য, তার মধ্যে অন,ভাব হল নাট্যৰস্তু । কাব্য ও সাহিত্যে ভাবের প্রতিক্রিয়াকে বলা হয় অন ভাব কিন্তু নাট্যে অনুভাব হল ভাবের জনক । আর ভাব থেকেই হয় রসের উৎপত্তি।
সঙ্গীতে রস ডাবের প্রয়োগ কী ভাবে করা হয়েছে, দেখা যাক। সঙ্গীত বলতে আমরা গীত, বাদ্য ও নৃত্য—তিনটিকেই বুঝেব ।
গাঁত এবং বাদ্য, স্বরের মাধর্যের ওপর নির্ভরশীল। কাজেই সঙ্গীতের স্বরগগুলি সবই রস-ভাব যুক্ত হওয়াই স্বাভাবিক। কোন স্বর কোন রসের দ্যোতক, শাস্ত্রে তার উল্লেখ আছে।—
ষড়জ বা সা স্বরটিকে বলা হয়েছে বীর, রৌদ্র ও অদ্ভূত রসের দ্যোতক। ঋষভ বা রে চিত করে বীভৎস ও ভয়ানক রস । গাধার বাগ করণে রসের উদ্রেক করে। মধ্যম ও পঞ্চম (ম ও প) স্বর দুটি শৃঙ্গার ও হাস্যরস ব্যঞ্জক। ধৈবত ও নিষাদ ( ও নি) বীভৎস, ভয়ানক ও করণে রসের সঞ্চার করে।
অবশ্য কোন স্বরই এককভাবে রস উৎপাদন করতে পারে না। তাছাড়া সুরশিল্পীরা উষ্ণ রস-ভাব স্বরগুলিকে বিধিবদ্ধভাবে বিন্যাস ক’রে, রাগ-রাগিনীর মাধ্যমে শ্রোতাদের মনে বিভিন্ন রসের সঞ্চার করেন । আমরা একথা সকলেই বিশ্বাস করি যে, কোন ভয়ায়নক শব্দ যেমন আমাদের মনে ভীতি উৎপাদন করে, তেমনি কোন আতর শানেও আমরা ব্যথিত হই। কণ্ঠ ও বন্ধু সঙ্গীতে ঠিক তেমনি ভাবেই স্বরোৎপাদন করে বিভিন্ন ভাবের সঞ্চার করা হয়। ভাব ও রস প্রকাশের জন্য লয় ও তালের গরুত্ব উপেক্ষণীয় নয়।

গান ও বাজনা অপেক্ষা নৃত্যের দ্বারা ভাব-অভিব্যক্ত করা অপেক্ষাকৃত সহজ কারণ সেখানে অঙ্গভঙ্গি ও মুখের অভিব্যক্তি দ্বারা মনের ভাব সহজেই প্রকাশ করা যায় । তবে সেখানেও কণ্ঠ ও যন্ত্র সংগীতের সাহায্যে পরিবেশ সৃষ্টি ক’রে তাকে আরো উদীপ্ত— আরো হৃদয়গ্রাহী করে তোলা হয়। সঙ্গীতে এই রস কী ভাবে অভিব্য হয় এবার তাই বলছি –
১. শৃঙ্গার রস (Love)
এই রসের স্থায়ী ভাব হল রতি বা প্রেম। প্রেম দ’রকম— সাত্ত্বিক ও দাম্পত্য। ভগবানের সঙ্গে ভক্তের, পিতামাতার সঙ্গে সন্তানের, ভাইয়ের সঙ্গে ভগ্নির যে প্রেম বা ভালোবাসা, তা হল সাত্ত্বিক আর স্বামী-স্ত্রীর প্রেমকে ফেলা হয় দাম্পত্য পর্যায়ে। সাধারণ ভাবে পরুষ ও প্রকৃতির দাম্পত্য প্রেমকেই শঙ্গারিক আখ্যা দেওয়া হয়। অতএব এই রসের আলম্বন বিভাব হ’ল পুরুষ ও প্রকৃতির সুগঠিত দেহ এবং আকর্ষণীয় বেশভুষা হল উদ্দীপন বিভাব।
চপল গতির (লয়ের ) চটুল সঙ্গীতও (কণ্ঠ ও যন্ত্র) এই বিভাবের অন্তর্গতি। অনভেব হ’ল কটাক্ষ, অবলোকন, আলিঙ্গন, মুকুটীভঙ্গি ইত্যাদি । এই অননুভাব পরিস্ফুট হয় নৃত্যের দ্বারা। কণ্ঠসঙ্গীতে এই অনুভাবকে ফুটিয়ে তোলা হয় শিল্পীর কন্ঠস্বরের আবেদন ও মুখের অভিব্যক্তি দ্বারা ।গানের কথা ( কবিতাংশ ) এ ক্ষেত্রে অনেকখানি সহায়তা করে। এ ক্ষেত্রে শিল্পীই আলবেন। তাঁর কণ্ঠস্বরের জাবেদন ও গায়নভঙ্গী ( গায়ক ) ইত্যাদি উদ্দীপন বিভাব । শৃঙ্গারের অন্য দলটি অবস্থার নাম হল সম্ভোগ ( সংযোগ বা মিলন) ও বিপ্রলম্ভ (বিয়োগ বা বিরহ )।

২। হাস্য রস (Laughter )
এই রসের স্থায়ী ভার — হাস্য । ভাব নাটকের বিদ্যক এই রসের আলম্বন বিভাব। বিদষেকের পোষাক, কথাবার্তার ভঙ্গি ইত্যাদি হল উদ্দীপন বিভাব । অন ভাব—তার অঙ্গভঙ্গি : গানের ক্ষেত্রে শিল্পী নিজেই আলম্বন । তাঁর গানের ভাষা কন্ঠস্বর, গায়নভঙ্গী, তাল ও লয় ইত্যাদি উদ্দীপন বিভাব । নৃত্যে অভাব হল –চোখ-মুখের অসঙ্গতিপূর্ণ বা হাস্যকর ভঙ্গিমা ।
৩ । করুণ রস ( Grief / Tenderness )
করুণ রসের স্থায়ী ভাব—শোক । যে-পাত্র দ্বারা বিরহ ও নৈরাশ্য জাতীয় দঃখ প্রকাশ পাচ্চে, নেই পাত্র হ’ল আলম্বন বিভাব । আর যে-স্বর (কণ্ঠ বা বাদ্য ) দ্বারা এই রসের সঞ্চার হয়, তা হল উদ্দীপন বিভাব। নৃত্যে- মচ্ছা, কদন, কেশ উৎপাটন, মাথা-কপাল চাপড়ানো ইত্যাদি যেসব ভঙ্গি দ্বারা এই রস প্রকাশিত হয় তা হল অন ভাব ।
৪ । নৌদ্ররস ( Anger )
এ রস সাধারণ ভাবে বিশদ্ধে সঙ্গীতের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হয় না। স্থায়ী ভাব- ভোধ । আলবন হল যোদ্ধা, অসুর প্রেমমূর্তি শতকর প্রভৃতি পাত্র। উদ্দীপন ভাব—কর্কশ কণ্ঠস্বর এবং অনরোপ সঙ্গীত-ধীন (কণ্ঠ ও বাদ্য) । অন, ভাব—রক্তবর্ণ চক্ষ,, দাঁত চাপা, ঠোঁট কামড়ানো ইত্যাদি। রণসঙ্গীত, মার্গ সঙ্গীত প্রভৃতি এই পর্যায়ে পড়ে ।
৫ । বীর রস ( Enthusiasm / Heroism )
স্থায়ী ভাব—উৎসাহ। ধীর উদাত্ত নায়ক হল আলম্বন। উদ্দীপন- গাভী- পর্ণে’ কণ্ঠস্বর। অনভব – কঠোর অঙ্গসঞ্চালন, অস্ত্রধারণ, অভয়প্রদান ইত্যাদি।কণ্ঠসঙ্গীতের ক্ষেত্রে গানের রচনা, গায়নভঙ্গী ও লয়-তাল ইত্যাদি দ্বারা এই ভাব প্রকাশ করা হয়।
৬ । ভয়ানক রস ( Fear )
স্থায়ীভাব-ভয়। আলবন- ভীতিকর পার। উদ্দীপন— চীৎকার, হাহাকার, ভীতিপ্রদ স্বর (কণ্ঠ ও বাদ্য ), ভীতিকর অঙ্গ সঞ্চালন ইত্যাদি। অন, ভাব— ভয়োৎপাদক আঙ্গিক অভিনয় ।
৭ । বীভৎস রস ( Disgust Obscenity )
সঙ্গীত হল নির্মল ও পবিত্র কলা। তাই এই রসের প্রয়োগ সঙ্গীতে সচরাচর হয় না। নাত্যনাট্যে ক্বচিৎ দেখানো হয়। এই স্থায়ী ভাব—জাগপা বা ঘণো আলবন – পাত্র। উদ্দীপন—বধ বা হত্যা করা জাতীয় অভিনয় ।

৮ ৷ অদ্ভূত রস ( Wonder / Surprise )
স্থায়ীভাব – বিস্ময় । আলম্বন পার উদ্দীপন — অদভুত ধরনের সঙ্গীত। অনাভাব — বিস্ময়কর ঘটনা। অনিয়মিত শব্দ ও ছন্দ দ্বারা কিছুটা দ্রুততার সঙ্গে কৃত্রিম সঙ্গীতের সাহায্যে এই রস প্রকাশিতব্য । বিশদ্ধে সঙ্গীতে এই রস পরিতাজ্য।
৯ । শান্ত রস ( Quietsm / Peacefulness )
আগেই বলা হয়েছে, এই রসের কোন উল্লেখ ভরতম নি করেন নি। সঙ্গীত এমনিতেই এমন একটি নন্দনতত্ত্ব সম্বন্ধীয় কলা, যার দ্বারা শ্রোতারা পরম শান্তি এবং আনন্দ লাভ করেন। অন্য যে কোন কলা অপেক্ষা, সঙ্গীত এক্ষেত্রে সর্বাগ্রগণ্য। অর্থাৎ অন্য যে-কোন কলা অপেক্ষা বিশ,দ্ধ সঙ্গীত অতি সহজেই — অল্প সময়ের মধ্যে মাননুষের মনে প্রশান্তি ও আনন্দ এনে দিতে সক্ষম। এই রসের স্থায়ী ভাব হল নিবেদি ( নৈরাশ্য বা বৈরাগ্য ) ।
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে, সঙ্গীত ( গীত, বাদ্য ও নতো ) রসসৃষ্টির ব্যাপারে প্রধানত শিল্পীর পরিবেশন পদ্ধতিই অনেকখানি নির্ভরশীল এবং আননুসঙ্গিক বস্তুগলি তাকে এই বিষয়ে প্রভৃতে সাহায্য করে ।
আরও দেখুনঃ
