নৃত্যশিল্পী জয়লাল

আজকের আলোচনার বিষয়ঃ নৃত্যশিল্পী জয়লাল

 

নৃত্যশিল্পী জয়লাল

 

নৃত্যশিল্পী জয়লাল

জয়পুর ঘরানার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথক নৃত্যাচার্যরূপে জয়লালজী আজও জনমানসে বিরাজমান। শুধু নৃত্যই নয়, তবলা, পাখোয়াজ ও কণ্ঠসংগীতেও তিনি কুশলী ছিলেন। তিনি যে সময় জন্মেছিলেন, সে সময়কার রেওয়াজ (প্রথা ) এমনিই ছিল। সংগীতের যেকোন শাখার শিক্ষা গ্রহণকালে পরিপরেক হিসেবে অন্যান্য শাখাগুলি সম্বন্ধেও কিছ, জ্ঞানার্জন করতে হত সেকালে ।

পারিবারিক সূত্রে জয়লালজী সাংগীতিক সংস্কার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে ছিলেন ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে। তার পিতা চুমীলাল ও তাত দুর্গাপ্রসাদ ছিলেন সে সময়ের বিশিষ্ট নত্যকার। তাঁরা শিক্ষা পেয়েছিলেন। শংকরলাল নামক এক গুণীর কাছে। চুন্নী লালজীর দাই পত্রে জালাল ও সুন্দর প্রসাদ। এরা দজেনেই জয়পরে ঘরানার সর্ব শ্রেষ্ঠ নাত্যাচার্য হিসেবে সারা ভারতে প্রসিধিলাভ করেছিলেন। সুদূরপ্রসাদ ২৮শে মে, ১৯৭০ দিল্লীতে দেহত্যাগ করেন ( পৃষ্ঠান্তরে তাঁর পরিচয় দ্রষ্টব্য)। ान প্রায় ৬৫ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন কলকাতায় লেকের তদানীন মিলিটারী হাসপাতালে—১৯৪৯ খৃষ্টাব্দে। তাঁর প্রমে, বোসিস হয়েছিল।

 

নৃত্যশিল্পী জয়লাল

 

জয়লালজীর কাকা দুর্গাপ্রসাদ নিঃসন্তান ছিলেন । তাই তিনি ভ্রাতুষ্পুত্র জয়লাল ও সুন্দরপ্রসাদকে নৃত্য শিক্ষা দিয়েছিলেন অকৃপণ ভাবে। দুর্গোপ্রসাদ জ্যোতিষ বিদ্যাতেও পারদর্শী ছিলেন বলে জানা যায়।

শিক্ষা গ্রহণান্তে জয়লালের খ্যাতি ক্রমশ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে । যোধপুরে, সিকরী, রায়গঢ়, মইহার ও নেপালেও তিনি কিছুকাল অতিবাহিত করেন। রায়গড়ের রাজা একমাত্র জয়লালজাঁকেই ‘সংগীতাচার্য” উপাধিতে অলংকৃত করেন বলে জানা যায়। জীবনের শেষ তিন বছর তিনি অবস্থান করেন কলকাতাতেই। এই সময় তাঁর প্রিয় শিষ্য ( তবলার ) শ্রীছেন; গাঙ্গলী তাঁকে বিশেষভাবে দেখা না করেন ।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

জয়লালজীর দুই বিবাহ। দুই পত্নীর দাই সন্তান— জয়কুমারী ও রাম- গোপাল । এরাও দুজন পারিবারিক ঐতিহ্য বজায় রেখে কথক নৃত্যে বিশেষ সুনাম অর্জ’ন করেন। জয়কুমারী কয়েক বছর আগে (১৯৬৪) স্বর্গ তা হয়েছেন । রামগোপাল নৃত্যে শিক্ষাদানকে বাত্তি হিসেবে গ্রহণ করে কলকাতার বাসিন্দা হয়ে ছিলেন। তবলা বাদনেও রামগোপালের খ্যাতি সর্বজন বিদিত। ১৯৭১ খৃ. তাঁরও মত্যু হয়।

জয়নালজী তথা সোহনলালজীর সার্থক শিক্ষায় বাংলার নৃত্যশিল্পী কুমারী বেলা অর্ণবের নামও সারা ভারতে কারো অবিদিত নেই। ১৫৪৭ খৃষ্টাব্দে বম্বেতে প্রতিভাধর সোহনলালাজীর মৃত্যু হয়। জয়লাল ও সোহনলাল ছিলেন মামাতো-পিসতুতো ভাই ৷

জয়লালজীর কয়েকজন প্রমুখ শিষ্য-শিষ্যা : সুন্দর প্রসাদ, সোহনলাল, কার্তিক, কল্যাণ ( রায়গঢ় ), জয়কুমারী, বেলা অণ’ব, রামগোপাল, শিশির- শোভন প্রভৃতি। এরা সকলেই নৃত্য পারদর্শি। তবলা শিক্ষা করেছেন : জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, ছেন, গাঙ্গলী, সুধীর রায়, রামগোপাল প্রভৃতি।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment