তাল ও তালের দশ প্রাণ, মাত্রা, বিভাগ, সম : তালি : খালি

আজকে আমরা তাল ও তালের দশ প্রাণ, মাত্রা, বিভাগ, সম : তালি : খালি সম্পর্কে আলোচনা করবো

 

তাল ও তালের দশ প্রাণ, মাত্রা, বিভাগ, সম : তালি : খালি

 

তাল ও তালের দশ প্রাণ, মাত্রা, বিভাগ, সম : তালি : খালি

তাল

সঙ্গীতের কাল বা সময়ের পরিমাপকে বলা হয় ‘তাল’। বিভিন্ন মাত্রা সমষ্টি দিয়ে বিভিন্ন রকমের তাল রচিত হয়।

তালের উৎপত্তি সম্বন্ধে একটি কিম্বদন্তী শোনা যায়। বলা হয় শিবের তাণ্ডব নৃত্যের আদ্যাক্ষর ‘তা’ এবং পার্বতীর লাস্য নৃত্যে আদ্যাক্ষর ‘ল’- এই দুটি অক্ষরের সমন্বয়ে তাল’ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে।

 

তাল ও তালের দশ প্রাণ, মাত্রা, বিভাগ, সম : তালি : খালি

 

তালের দশ প্রাণ

যে-সব গুণাবলী দ্বারা তাল প্রাণবন্ধু হয়ে ওঠে, সেই গুণাবলীকে বলা হয় তালের প্রাণ। প্রাচীন শাস্ত্রে তালের যে দশটি প্রাণের উল্লেখ পাওয়া যায়, সেই দশটি হ’ল- কাল, মাগ’, ক্রিয়া, অঙ্গ, গ্রহ, জাতি, কলা, লয়, যাঁত ও প্রস্তার। এগুলির বিশদ বর্ণনা জানতে হলে প্রশান্তকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত গ্রন্থ ‘তবলার ব্যকরণ’— ১ম আবত্তি দেখে নিতে পারেন।

মাত্রা

সঙ্গীতে গতি বা লয়কে যে একক (unit ) দিয়ে পরিমাপ করা হয়, তাকে বলা হয় মাত্রা। আগেই বলেছি, এই মাত্রার সমষ্টি নিয়ে তৈরি হয় তাল ।

 

তাল ও তালের দশ প্রাণ, মাত্রা, বিভাগ, সম : তালি : খালি

 

বিভাগ

একটি তালকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যেমন বিতাল ১৬ মাত্রার তাল, একে চারটি সমান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এই ভাগগ, লিকেই বলা হয় ‘বিভাগ’। যেমন ত্রিতালের বিভাগ চারটি, ঝাঁপতালের বিভাগ চারটি, কাফা ও দাদরা তালের দুটি করে বিভাগ ইত্যাদি।

সম্ : তালি : খালি

সম

কোন তালের প্রথম বিভাগের প্রথম মাত্রাটিকে বলা হয় ‘সম সাধারণত ‘সম’ থেকেই তবলার ঠেকা আরম্ভ হয় । অন্য বিভাগের প্রথম মাত্রাগুলির অপেক্ষা ‘সম’-এর ওপর একটু বেশি ঝোঁক দেওয়া হয়। তাললিপিতে ‘সম’ চিহ্নিত করা হয় + বা x চিহ্ন দিয়ে। কোন পদ্ধতিতে ১ কিংবা ১ এইভাবেও ‘সমকে চিহ্নিত করা হয়। বিফ, নিগম্বর পদ্ধতিতে কিন্তু + এই চিহ্ন দেওয়া হয় ফাঁক বা খালি বোঝাবার জন্য ।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

তালি

তালের প্রথম বিভাগের প্রথম মাত্রায় তালি দিয়ে যেমন ‘স’ দেখান হয়, তেমনি ‘সম’ এবং ‘ফাঁক’ ছাড়া অন্য বিভাগগুলির প্রথম মাত্রার ওপর তালি দিয়ে ভাল বিভাগ বোঝানো হয়। ‘সম’ ও ‘খালি’ ছাড়া অন্য বিভাগগগুলিতে যে তালি দেওয়া হয়, সাধারণত সেগুলিকে বলা হয় তালি। এই তালিগুলির পার্থক্য বোঝানো হয় যথাক্রমে ২, ৩, ৪ ইত্যাদি সংখ্যা দিয়ে বিশ্বদিগম্বর পদ্ধতিতে আবার মাত্রার সংখ্যা লিখে ‘সম” এবং তালি’র চিহ্ন দেখানো হয় ।

 

তাল ও তালের দশ প্রাণ, মাত্রা, বিভাগ, সম : তালি : খালি

 

খালি

‘ল’ বা ফাঁক বলা হয় তালের সেই বিভাগকে, যেখানে তালি দেওয়া হয় না। তাললিপি বা মুরলিপিতে ফাঁক বোঝানোর জন্য কোন মতে ০ চিহ্ন দেওয়া হয়, কোন মতে দেওয়া হয় + চিহ্ন।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment