আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় – ঘনিষ্ঠ যুগল নাচ ।যা “যুগ যুগব্যাপী নাচ” খন্ডের অন্তর্ভুক্ত।
ঘনিষ্ঠ যুগল নাচ

The Volta ভল্টা ল্যটিন-বিশ্বের সমস্ত দরবারী নাচের মধ্যে একটা অনন্য স্থান জুড়ে আছে। পাশাপাশি বা পরস্পরের সম্মুখে, পিছনে ও সামনে, আগের দিকে ও পশ্চাতে, পরস্পরকে খুবকমই স্পর্শ করে, যুগল আকৃতির মত অল্পকিছু নাচের পরিবর্তে ভল্টা নাচুয়ে গণ ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গনে, ক্রমাগত ঘুরে ও বিচ্ছিন্ন না হয়ে শূন্যে উঁচুতে লম্প-ঝম্প করে। ঝকমকে বল রুমে (Ball Room) এই প্রানবন্ত নাচ নিয়ে আসে শক্তি ও আদিমতার অযাচিত অন্তপ্রবাহ, প্রচন্ড জীবনীশক্তি, দক্ষিন ইউরোপের gaillardise এবং তেজস্বী আত্ম-বিশ্বাস।
ডান-পা উঁচুতে শূন্যে তুলে নিয়ে, বা পায়ের উপর একপায়ে লাফায় এবং নব্বই ডিগ্রী কোণের দিকে ঘুরে আসে, লম্বা করে পা-ঘষেনিয়ে যায় এবং এক চতুর্থাংশ ঘুরে, তারপর লাফ দিয়ে উপরে উঠে যেন তারা তিন চতুর্থাংশ ঘুরে ফেলেছে। যদিও প্রত্যেক ফিগার শুধুমাত্র তিন চতুর্থাংশ ঘুরা নিয়ে গঠিত, নাচুয়ে গণ তাদের আসল মূল অবস্থানে পৌঁছাতে পারে না যতক্ষণ না চার ফিগার প্রদর্শন না করা যায়।
ষোল শতাব্দী পার্টনারদের পাশাপাশি অবস্থানে ঘুরাকে অসম্ভব করে তুলে। যদিনা ভদ্র মহিলা সবসময় পিছনের দিকে না নাচে তবে তাদেরকে অবশ্যই এক ব্যাক্তির সাদৃশ্যে চলতে হয়। তাই ভদ্র মহিলাকে তার ডান হাত তার (জোড়া) পার্টনারের পিছনে অথবা কলারে রাখতে হয় ও তার স্কার্টকে বাম হাতে ধরতে হয়।
যাইহোক, পুরুষ নাচুয়ের জন্য নির্দেশনা হলঃ বাম বাহু ভদ্র মহিলার ডান কোমর বেষ্টন করবে: বাম উরু তার ডান উরুর বিপরীতে চলার দিক্ নির্দেশ করবে (রাডারের মত); ডান হাত কাঁচুলির নিম্ন প্রান্তের নিচে, কর্সেটের সম্মুখের সমতল স্থানে রেখে তাকে (মহিলাকে) লাফ দিতে সহায়তা করে। সমকালীন শিল্পী থিওডর ডি ব্রের মুগ্ধকর খোদাই চিত্রকর্মে এটা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে, প্রতিলিপি প্লেট নম্বর- ২৪।
ষোল শতাব্দী জার্মানীর সেই সময়ের গোড়া লোকজন যখন এটাকে “লজ্জাজনক অবস্থা” যার মধ্যে মহিলাকে “অশালীন ভাবে ধর রাখা হয়েছে এবং পুরা নাচকে “অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ” বলত, সেটাকে আমরা দোষারোপ করতে পারি না। তারা বল “এটাকে অবশ্যই সুশৃঙ্খল পুলিশ-বাহিনী দ্বারা তদন্ত করাতে হবে এবং খুব কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই নাচ যতই চলতে থাকবে “দুর্ভাগ্যের বাহন হতে থাকবে এবং অনেক খুন ও গর্ভপাত অতিক্রম করতে থাকবে” ।
যাইহোক, এই পুলিশের জন্য দাপাদাপি শেষ পর্যন্ত দেখা গেল অন্যের ভাব, শব্দ, রচনা চুরি করে নিজের বলে ষোল শতাব্দী চালনার রীতি হয়ে উঠেছে। মূল উৎস পাওয়া গেল উইলাউমি বাউচেটের (১৫২৬-১৬০৫) মধ্যে, যেখানে এটা আরো অধিক বুদ্ধিমান ও আরে বোধগম্য ( Volta, Courante fissave যেটা যাদুকরেরা নিয়ে এসেছে ইটালী থেকে ফ্রান্সে, তাদের বলিষ্ঠ ও অশালীন অঙ্গ-ভঙ্গি গুলি ছাড়াও খুন-খারাপী ও গর্ভপাতে ভরপুর এই দুর্ভাগ্যজনক অবস্থা ছিল যার ফলে তাদের মৃত্যুর কারণ অনাগত অনুগ্রহনকারীর হত্যাকান্ড ঘটে।)
আরবিউ এটার সম্বন্ধে কম চর্চা করেছেন; তিনি শুধু মাত্র জিজ্ঞাসা করতেন এই কম বয়সের মেয়েদের এত বড় ধাপ নেয়া প্রকৃতপক্ষেই সঠিক কিনা এবং নাচুয়েদের ক্রমাগত ঘূর্ণায়নের ফলে চোখে আবছা দেখার বিপদ সম্পর্কে বেশী আগ্রহী ছিলেন।
সেই “লজ্জাজনক” স্পর্শ তাকে যতটুকু বিরক্ত করত তেমনই করে অপরিনামদর্শী স্কার্ট উড়ানতে যেটা প্রায় ১৫৭০ সনে প্যারিস দরবারের লাম্পট্য ঘটনাপুঞ্জীর লেখক ব্রান্টটমকে এত আনন্দ দিত, কারণ (যে জন্যে পোষাক উড়ত, সর্বদা কিছু না কিছু আনন্দজনক দৃশ্য উন্মোচিত হত এবং আমি দেখেছি এটার ফলা অনেকে বিপথগামী হয়েছে এবং তারা নিজেদের মধ্যে উৎফুল্ল হয়েছে।)
ষোল শতাব্দী তাছাড়াও আরো অধিক লজ্জাশীল মহিলাগণ জানত কেমন করে কোমরবন্ধ (মেখলা) ও প্যান্টালেটস (পাওয়ালা অন্তর্বাস নেকারবুকার ঘিরে পড়ে) যা সেই লক্ষ্যে দৃশ্যতঃ তৈরী তা দিয়ে নিজেদেরকে রক্ষা করতে হয়।
বেসল মেডিকেলের ছাত্র টমাস প্লাটার (২য়) ১৫৯৬ সনে মন্টেপেলারে যে, ভ্রম্যমান আনন্দ মেলায় অংশগ্রহন করে, তাতে যুগলগণ শুধু একটা ফিগার একই সময়ে তিন চতুর্থাংশ ঘুরে তারপর একত্রে দাঁড়ায়ে থাকে, যখন অন্যরা তাদের পারফরমেন্স করে এইরূপে পুনরায় নাচার জন্য প্রস্তুতি নেয়-যদি আমি বর্ণিত বর্ণনা সঠিকভাবে বুঝি তাহলে Volta হল গিয়ে ক্রমাগত ঘুরার জন্য খুবই উদ্যমযুক্ত বা অধ্যবসায়পূর্ণ।
আরবিউ অনুসারে পদবিন্যাস হলঃ * (স্বরলিপি-২১) যখন টমাস প্লাটার মন্টেপেলারে লেখাপড়া করত Volta র সঙ্গে branle, galliard scourante একত্রে প্রধান নাচ ছিল, প্রোভেন্সি এটার স্বদেশ ভূমি। যদি ১৫৫৬ সনে ন্যারচের কাউন্ট কর্তৃক ভিয়েলভিলের সেক্রেটারী কারণ সঠিক ভাবে জ্ঞাত হতেন তবে এটা প্রথমে প্যারিস দরবারে প্রচলিত হত, এটা লিপিবদ্ধ করতে আরো অধিক আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল যে, এমনকি ১৬০০ সনের পূর্বে এটা ইংরেজী-নাচ প্রশিক্ষণে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত । ইংরেজী নাচের স্কুল আমাদেরকে তারা আদিষ্ঠ করে শিখায় উচ্চ লাভোলটাস, এবং কোরানটস তীব্রবেগের সেক্সপীয়ার, হেনরী পঞ্চম, III, পাঁচ।
কিন্তু জার্মানীতে পূর্বে এটার উপস্থিতি এখনও অজ্ঞাত। যখন ১৫৫৩ সনে টমাস প্লাটারের বড়ভাই ফেলিক্স মন্ট পেলারে মেডিসিন অধ্যায়ন করত, সে ব্যাসেলে Volta সম্বন্ধে তার বাড়ীর লোকজনকে বলত যে তারসঙ্গে তারা সম্পূর্ণভাবে পরিচিত।
ষোল শতাব্দী সত্যিকারভাবে ১৫৩৮ সনে ওয়েষ্ট ফ্যালিয়ান খোদাই চিত্রকর হেনরিখ এলডিগ্রেভার সম্পূর্ণ অভ্রান্তরূপে তার বিবাহ-নাচের সিরিজের চিত্রাঙ্কন করেছে কাঁচুলির শেষ প্রান্ত আঁকড়ে ধরে রাখার প্রায় শেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করে (প্লেট ২৩)। বারংবার ফরাসী লেখকগণ দাবী করেন Waltz এর মূল উৎস বা উদ্ভব ফ্রান্সে Volta কে বলেন এটার জননী।
যাইহোক, মেয়েদেরকে উপরে তোলার রীতি কয়েক শতাব্দী পূর্বে জার্মানীতে তার চিহ্ন পাওয়া যাবে; গাঢ় আলিঙ্গনে ঘুরা যেমনটা আমরা পরবর্তী বিভাগে দেখতে পাব, ফরাসী প্রবন্ধকার মনটেইগনীকে অভিভূত করে যখন তিনি এটা জার্মানীতে কিছুটা সাধারণের বাইরে প্রত্যক্ষ করেন এবং কাঁচুলির প্রান্তদেশে আঁকড়ায়ে ধরা যেটা Volta অথবা Landler কোনটারই অংশ না, প্রোভেন্স থেকে পারিসে Volta র পথ খুঁজে পাওয়ার কয়েক যুগ পূর্বেই ওয়েষ্ট ক্যালিয়ার মধ্যে সেটা বর্ণিত হয়েছে এবং কেউই ওয়েষ্ট ফ্যালিয়াকে আঞ্চলিক প্রথায় কোন বিশেষ সংশ্লিষ্টতা আরোপ করতে পারবে না।
ষোল শতাব্দী তারপর আর কি অবশিষ্ঠ থাকতে পাবে ? জবাবে আমরা আমাদের দিক থেকে জার্মানীর তরী বাজাব না : সকল ঘুরা (চক্কর) নাচের মূল উৎস নব- প্রস্তর (নিওলিথিক) যুগের বপন ধর্মীয় প্রথার আধো-আলোআঁধারি লগ্নে হারায়ে গেছে। Volta এটার বংশধরের কৃতিত্ব এটাতে দিক তা দেখার জন্য বাচে নাই : মাসেইনন ১৬৩৬ সনে সকল জীবন্ত নাচের মধ্যে এটার শেষ উল্লেখ করেন। তার কিছুদিনের মধ্যে এটা অবশ্য মৃত হয়ে যায় ।
আমি জানি ফরাসী নির্জারডা ও একটা চমৎকার পেলিয়ার্ড।
নির্জারডা ? প্রশ্ন করে কি নাচ ভা Lope de vega. FI Maestro de Danzar (১৫৯৪)
নির্জারডার কথা লোপ জেলা এই প্রশ্নের উত্তর খুব সম্প্রতির মত দেয়নি।
ক্যাপরিগুনি, আলিঙ্গন এবং
কেমন আলিঙ্গন ?
যেমন ফরাসী পথে…
লোগীর কমেডি যে উত্তরদিতে ব্যর্থ হয়েছে, প্রায় ১৬০০ সনে ইটালীয়ান ফেড্রিগো জুকারো তা বিরাট আকারে দিয়েছেন, যিনি একজন চিত্রকর হয়েও একজন ভাল ও বিশ্বস্ত পর্যবেক্ষক। অদ্রলোক ভদ্র মহিলাকে আমন্ত্রণ জানায় Courante পদক্ষেপে তারা তিন বা চার সময়ে (মাত্রা) হাতে হাত দিয়ে হলের ভিতর দিয়ে ও আলিঙ্গনবন্ধ হয়ে সম্মুখে তাড়ায়ে নিয়ে চলে, ভদ্রলোক তার বাম হাত ভদ্র মহিলার পিছনে রাখে এবং তার (পু) ডান হাত দিয়ে তার (স্ত্রী) বাহু সামনে জাপ্টে ধরে;
তারপর সবসময় সামনের দিকে নেচে চলে, সে (পু) তাকে (স্ত্রী) তিন বার সম্প-ঝম্প শূন্যে করতে সহায়তা করে; শেষের দিকে তার (পু) হাঁটুর সাপোর্টে সে (পু) তাকে (স্ত্রী) উপরে তুলে এবং নিচে পুনরায় নামায়, এবং একটা চুমা তার বল ও ক্ষিপ্রতার পুরস্কার স্বরূপ পায়।
যে কেউ জানে না কেমন করে নাচতে হয় নির্জারডা রাজ সভাসদ হতে পারে না সে, ভদ্রলোক নয় এবং একটা পাইডমনটটসি না সে। আমরা যেন ভুলে না যাই যে নীস (NICE) একটা অঞ্চল – ভৌগলিক ভাবেও নির্জারড়া ভল্টার ঘনিষ্ঠ আমি সঠিক ভাবে বলতে পারবনা নির্জারডা কতক্ষণ ধরে নাচা হয়। ১৬৭৫ সনে মৃত্যুবরণকারী বারটোলমিও করসিনি তার কৌতুকময় বীরত্বের কবিতা Torracchione Disolato তে এটাকে উল্লেখ করেছেন। নাচ থেকে প্রচুর ক্ষতি হয়ে থাকে।
Sebastian Brant, The ship or Fools
জার্মান ঘুরা (চক্কর) নাচ অথবা Drehtanz. ষোল শতাব্দীর ইংল্যান্ডের মত জার্মানী বৃহত্তর নাচের জগৎ থেকে দুরে ছিল: ক্যারোসের বই II Ballarino শুধুমাত্র stallvso d’Italia, Come a quello di Francia & Spagna র নাচের কথা বলে।
জার্মানী তা সেটা মুছে ফেলেছে, এটা যেমন রিপোর্ট করে হয়েছে যে ১৫৪৮ সনে বার্থোলোমাস সসটো প্রথম galliard স্পেনবাসীদের দ্বারা নাচতে দেখেন এবং এমনকি এই অদ্ভুত নাচের অপরিচিত নাম কখনই সঠিকভাবে শুনেন নাই;
এটা তবুও মুছে গেছে যে, বেসেল চিকিৎসক ফ্রিক্স প্লাটার ১৫৫৪ সনে মন্ট প্রিয়ারে ছাত্রাবস্থায় তার এক বৎসরের বেশী সময়ে ইটালীয় নাচের প্রথম স্বাদ আস্বাদনের ঘটনা তার স্মৃতিচারণের উপর জোড় দিয়ে অন্যান্য জার্মাদের বিস্ময়াবিষ্ট করাতে সক্ষম হন।
এমনকি তুলনামূলক ভাবে তার ছোট বৈমাত্রীয় ভাই টমাস প্লেটারের কাছে Volta, Courante 3 galliard ১৫৯৫ সনের danses etrangeres এর মধ্যে আছে। যখন ১৫৯৮ সনে এনন্ট কোথনের প্রিন্স লুডউইগ ফ্লোরেন্সে আসেন, তিনি বিস্ময়ের মধ্যে লক্ষ্য করেন যে তারা এখানে জার্মানীর মত নাচে না ” ভেলকীবাজির হাতের সঙ্গে অথবা তাদের কাঁধ একবার এখানে একবার সেখানে ঘুরান”।
অন্যদিকে জার্মানীর ঘনিষ্ঠ ঘুরা (চক্কর) নাচ বহুদিন ধরে ল্যাটিনদের (ইটালী, ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগাল) কাছে অদ্ভুত- বিস্ময়কর বলে প্রতিয়মান হয়েছে। যখন বোলনীজ পাদ্রী সিবাসটিয়ানো লোকেটলি ১৬৬৫ সনে ওয়েলিসের ক্যান্টনের সিটটেনে আসেন সেখানে তাকে একটা ঘুরা-নাচে অংশ নিতে হয় যেটার নাচের ধরন সম্বন্ধে পরিচিত ছিলেন না এবং শিঘ্রই তিনি মাথা ঘুরে চোখে আবছা দেখতে শুরু করেন।

১৫৮০ সনে মন্টেগনী ইটালী ভ্রমণের পথে আগসবার্গের ফিউগার্স এর বাসভবনে ঘুরা নাচ দেখেন এবং তার ডাইরীতে সেটা বর্ণনা করেন ঃ উভয় হাত তার পার্টনারের পিছনে দিয়ে, সে তাকে (স্ত্রী) এত ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গনে ধরে রাখে যে-যেমন আমরা দেখি অলডিগ্রেভারের খোদাই কাজে এবং তার জার্মান সমসাময়িকগুলি তাদের মুখমন্ডল স্পর্শিত * (প্লেট-২৩)। পরবর্তীতে যেমন তারজন্য আমরা সাইমন ড্যাচের চরণ যোগ করতে পারি :
কে সেই প্রথম যে নাচ করেছিল আবিস্কার তার মনে গাঁথা ছিল কুমারীর আর প্রেয়সীর পূর্ণ ঔজ্জ্বল্যতায় জ্বালা উষ্ণ আবেগ অনাবিল। Braut Tanta এইসব নকশাকাটা কাজ খুব বেশী পথনির্দেশক। যে সব নাচুয়েদের তারা আমাদেরকে দেখান তারা ঘুরা পারফরম করতে উভয় হাতে পরস্পরকে পিছন থেকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে।
এখানে সেখানে তারা এসে অপরকে অতিক্রম করে পিছন থেকে পিছনে অঙ্গ-ভঙ্গি এবং তারা জোড়া পায়ে লাফ দেয় হাত উপরে তুলে। বর্তমান ফরমের মধ্যে (গঠনশৈলীতে) ব্যাভারিয়ান ও আস্ট্রিয়ান Landler এর এই সকল হল জনপ্রিয় ফিচার (বৈশিষ্ট্য)। সুতরাং এটা হতে আমরা পুরান জার্মান Drehtanz পুনঃনির্মাণ করতে পারি।
ল্যান্ডলার যা থেকে এটার নাম পেয়েছে তাহল “Landl” আস্ট্রিয়ার পার্বত্য এলাকা (Steiermark অনুসারে কখন কখন বলা হয় Stetrer), একটা ভাসান ঘুরা নাচ, মধ্যম ধরনের টেম্পো বা লয়ে হয় এমনকি ১৯০০ সনে বয়স্ক মিউজিশিয়ানগণ এটাকে বাজায় ৩/৪ – M.M. ৪৮ আলাদা ফিগারে এইসব ফিগারের মধ্যে হল মেয়েটি লাট্টুর মত ঘুরে একই সময় তার পার্টনার উপরে হাত তুলে পদাঘাত করতে থাকে।
হাত মাথার উপর আটকায়ে রেখে একই সময় উভয় পার্টনার বিপরীত দিকে লাটুর মত ঘুরা শুরু করে- পিসাতে (১৪৮৫ সনের পূর্বে) ক্যাম্পো সানটোর মধ্যে বেনোজো গঞ্জেলি কর্তৃক একটা দেয়ালচিত্র অনুসারে, এটা প্রাচীন ইটালীরও প্রথা ছিল: “মধ্যেদিয়ে ভাসায়ে চলা” বাহুর নিচ দিয়ে নাচের মধ্যে সাইড পরিবর্তন করা পিছন থেকে পিছনে পরস্পরকে অতিক্রম করা: ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গনে ঘুরা।
” মুখমণ্ডল একত্রে চেপে ধরা এমনকি যদি তাদের উভয়ের ঘাম ঝরতে থাকে”। এই ফিগারের নাচ করা, সাধারণ ‘ওলটস বা ঘুরা নাচের বিপরীতে কৃষকেরা Schaim বলে ডাকে, যা খুবই নিস্তেজ আজকের দিনে। ল্যান্ডলারের উপর ই, হামাজের কাজের উপসংহারের উপর তিনি লেখেনঃ “ল্যান্ডলার নাচে লোকটি প্রায়ই তার পার্টনারকে (উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাবে) যেতে দেয় এবং মিউজিকের সঙ্গে দুই হাত দিয়ে তালি রাখে।
অন্য লোকের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়, মিল রেখে তালি দিতে শুরু করে এবং সকলে একত্রে একটা গোলকে তাদের মুখমণ্ডল স্পর্শ করে দাঁড়ায়। মেঘেরা বাইরের দিকে হেঁটে গোল করে। যতক্ষণ এটা ছেলেদেরকে আনন্দ দেয় ততক্ষণ পর্যন্ত এটা চলতে থাকে die Buam gfreut.
তখন প্রত্যেকে প্রত্যকের পার্টনার আবার গ্রহন করে এবং পূর্বের মত নাচ চলতে থাকে। এই ছোট জাত প্রবন্ধ আমাদের কাছে বিরাট তাৎপর্য বহন করে। এটার জন্য এটা হল স্পষ্টতঃ পুরাতন শোভাযাত্রার ধ্বংসাবশেষ যা মুখাভিনয়ের ফিগার পরিবর্তন করে। অন্য যেকোন বর্ণনার চেয়ে লিনাউর (Lenau) চরণ Landler এর আরো বেশী স্পষ্ট চিত্র ফুটায় তুলে
উঁচু তার কুমারীর মাথা অভিশয়
তারপর ভুলে সে তার বাহুদ্বয়,
আঙ্গুল তার যেন হয় কেন্দ্রবিন্দু
ঘুরে সে (স্ত্রী) চারদিকে ধীরে বিন্দু
শক্তির মত তাতে সুন্দর সম্পৃক্ত।
কত সোজা অগ্নে সে পাবে নাচতে
মহত্ত্ব মনোভার মধ্যে হ
ও তারপর কুমারীর হয় কারণ যত
হালকা পাক খায় ডানদিক হতে
বামের নিচ দিয়ে ভাসে সে মেতে।
চপল পার্টনার তার এখন
অবশ্য ঘুরপাক খাবে সে পিছন পিছন,
ঘিরে তাকে ঘুরে নাচ পাকে
ভালবাসার ঘেরে তার ভালবাসা থাকে,
যেমন সে বলতে চায়,
“বলে দাও আমার জন্য আমার সীমানা।
সকল আশা ও আনন্দ কতদূর বিস্তৃত
এবং এখন আর্শিবাদপুষ্ট যু
নেয় হাত পরস্পর পরস্পরের ভিতর
তারপর ভঙ্গিমার নমনীয়তার মাঝে
পরস্পর ছিটকে পরে দু’বাহু দু’দিকে।
চোখ তার স্থির হয় তার উপর
যে (স্ত্রী) শুধু দেখে তাকে অপলক
সম্ভবতঃ বলতে চায় তারা এর অর্থ
কেন আমরা দু’জন একত্রে হব নাক
একজনের বাহু মাঝে অন্যজন
কাটবে জীবন বেলা একত্রিত।
এইরূপ নাচ হয়। যেমন এটি ? Nicolaus Lenau, Der Steyrertana. এটা সবসময় হাল্কা ও মুগ্ধকর ছিলনা যদিও আমরা সেই জাঁকজমকশীল বল-নাচের আসরে অমর সিম্পলিসিয়াস সিম্পলিসিসিমাসের অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি, যেটা তারজন্য অপমানজনকভাবে রাজহাঁসের খোঁয়াড়ে সমাপ্তি ঘটে নাচুরেগণ “ এত বেশী পদাঘাত ও হৈ চৈ শুরু করে যে, আমি ভেবেছিলাম তারা সবাই বোধহয় পাগল হয়ে গেছে, এইসব অন্য অংশ করে থাকে জার্মানী, ফ্রান্স, ইটালী ও স্পেনে – বিশেষ করে নাচে ।
এটা বলে “কি জন্য ছাঁটা, কি বয়ন করা, কি চুমু খাওয়া ও নিয়ে আসা, কি স্মাউচিং ও একে অপরকে লালায় ভিজায়, কি পঙ্কিল জগতে অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ায় এবং ঐসকল নাচ অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় চর্চা করা হয় না ? “ভাল স্বভাবের জনাই চুমু খাওয়া এবং মহিলার এটা কামনা করার অধিকার আছে আমি অবশ্য অসংযত তোমাকে সাথে নিতে পথে এবং তোমাকে দেবনা চুমু এতটুকু ।

যে কেউ এটা ছেড়ে যাবে “গ্রাম্যতায় তাকে কখন নেয়া হবে না।” ইরেস আমাদেরকে জানান যে, ইংল্যান্ডে তারা নাচে “কপোলে কপোল রেখে” : এই পজিশন জার্মানদের নাচ থেকে আমাদের কাছে পরিচিত; শুধুমাত্র এটা ঘনিষ্ঠ যুগল নাচের মধ্যে সম্ভব হয়।
আরও দেখুনঃ
